TINT

Techno International New Town

(Formerly known as Techno India College of Technology)

Admission Helpdesk: +919674112076/2079

AICTE-MAKAUT

Events at TINT

Previous month Previous day Next day Next month
By Year By Month By Week Search Jump to month
22th Srabon (2022)
Monday, August 08, 2022, 11:00am - 01:00pm
Hits : 24


22 শে শ্রাবন অনুষ্ঠান সূচী তারিখঃ ০৮ই অগাস্ট স্থানঃ SNU অডিটিয়াম সময়ঃ দুপুর ১১টা থেকে ০১ টা
আমাদের TINT এর পক্ষ থেকে দুটি অধ্যায়ে অনুষ্ঠান টি পরিবেশন হচ্ছে যেমন student performance এবং faculty performance যেখানে পুজারিনী কবিতার সাথে কাশমী ম্যাম এর নৃত্য দু’টি অধ্যায়কে সংযোগের কাজ করবে । সামগ্রিক বিশয়টি নিচে দেয়া হল। প্রথমার্ধ্যঃ- (Students Performance ) শ্রাবনের ধারার মত ( স্থায়ী, অন্তরা ) দিয়ে শুরু - গানে অর্ক্যরুপ ঘোষ
কবিতা- ২২ শে - বুদ্ধদেব বসু [কবিতাবৃত্তি পাঠে - Basudha Lahiri (ECE, 3rd Year), Sayak Karar(CSE, 3rd Year), Kankana Bhowmik(CSE, 2nd Year)]
*প্রথমার্ধে কবিতাবৃত্তি পাঠে Basudha Lahiri এবং Sayak Karar* দিনটা ছিল ১৯৪১ সনের সেই ঝরো ঝরো অথচ মূক ৭ই আগস্ট, যার বাংলা নাম ২২শে শ্রাবণ। তখন সেই বয়েস যখন মনের মাটিতে বড় বড় বৃষ্টির ফোঁটার দাগ পড়ে। সেই মাটিতে উদাসীন নির্মম কঠিন কোনো ধাতুতে ইমারাত তৈরি করা কল্পনাও করা যায়না। সেই বয়েস সেই সময়। জানতাম তিনি কোলকাতায় আনিত। চেতনা অচেতনার মাঝখানের চৌকাঠে অনিশ্চিত অবস্থায় আচ্ছন্ন। প্রতিদিন তাঁর স্বাস্থ্যসমাচার সংক্রান্ত পত্রিকা বের হয়,আর তার ওপর তখন হুমড়ি খেয়ে পড়ি আমরা, যারা দূরবাসী, আচার্য্য দ্রোণের একলব্য শ্রেনীর। (শ্রাবনের ধারার মত সঞ্চারী ও আভোগ continues)
কুয়াশা কেটে ফেটে মাঝে মাঝে যেমন কাঞ্চনজঙ্ঘার রৌদ্রাভ শুভ্র রুপ দেখা দেয়, তেমনি তখনও চলছে মুখে মুখে রচনা। প্রায় প্রতহ্য একটি। অবিশ্বাস্য সেইসব ঘটনার সাক্ষী তখনকার প্রভাতী পত্রিকাগুলোর কয়েকটি সংখ্যা। আর অজ্ঞাত অগণিত আমরা তখনও কি সেই প্রত্যাশা করছিনা যে, পরমাশ্চর্য কোনো প্রত্যাবর্তন ঘটবে।কিংবা সত্যবানের মত তাঁরও প্রাণ প্রত্যর্পণে বাধ্য হবেন একালের সেই মৃত্যু অধিপতি। জীবন মরণের সীমানা ছাড়িয়ে কম্পিত পায়ে তিনি তো আগেও এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রান্তিক এক বিন্দুতে।কিন্তু ফিরেও তো এসেছিলেন আবার।ইতিহাস কি নিজেকে আবৃত করতে পারেনা আবার? পারে হয়তো, করেনি।খবরের কাগজের বিশেষ সংস্করণে, সেই অমোঘ সত্যটাকে শিরোধার্য করে বেরিয়ে এসেছিল, রবি অস্তমিত । গান- তোমার অসীমে (গানে অর্ক্যরুপ ঘোষ ও সতরুপা বেরা)
মুহুর্তে সব কাজ থেমে গেল।কলকাতা শহর উপচে পড়ল রাস্তায়, স্কুল কলেজ শূন্য, রাজকার্য অর্থহীন হয়ে গেল।উকিলের শামলা, পাদ্রীর আলখাল্লা, হলুদ আর গেরুয়া রঙের উত্তরীয়, গোল টুপি, বাঁকা টুপি, পাগড়ি, কেও চলছে, কেও ছুটছে, কেও বা দাঁড়িয়ে আছে চুপ করে। থেকে থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে বৃষ্টি তাঁর যাবার পথটা ধুয়ে ধূলিহীন করে দিচ্ছে।ঢেও এর পর আসছে ঢেও, ভেঙে ভেঙে ঢেও ছড়িয়েও যাচ্ছে।সেই ঢেওয়ের চুড়ায়,তলায়, ফেনায় ফেনায় মহামান্য নেতা থেকে সামান্য মানুষে মানুষে গড়া জনতা মিলে মিশে একাকার। তারই মধ্যে শয়ান বনস্পতিকে বহন করে নিয়ে গেল একদল লোক। অথবা সবার আগে আগে ওই যে তিনি নিজেই চলেছেন, চলে গেলেন। এমন নয় যে অকাল মৃত্যু, এমন নয় যে অপ্রত্যাশিত, তবু সেই মুহুর্তে কঠিন মাটি ফেটে গিয়ে গহ্বর খুলে গেল। রবীন্দ্রনাথ নেই, কে আমাদের ভালোবাসবেন, শাসন করবেন।কাকে আমরা উত্যক্ত করব সেই সব তুচ্ছ দাবি নিয়ে, যা শুধু তাঁরই হাতে রত্ন হয়ে উঠত।স্বদেশের সংকটের সময় কে আমাদের পরামর্শ দেবেন, তর্কযুদ্ধ মিটিয়ে দেবেন কে? জগতটাকে এনে দেবেন আমাদের দরজায়, আমাদের নবজাত সন্ততির নামকরণ করবেন,আমাদের জীবনে ও প্রতিষ্ঠান গুলিতে অর্পণ করবেন স্বীয় মর্যাদা। এতক্ষণ শক্ত ছিলাম, না পারছি সদ্য সৃষ্ট শূন্যতাকে পুরণ করতে, না আছে শক্তি ‘তবু শূন্য শূন্য নয়’ বলতে। সমবেত সংগীত- তুমি রবে নীরবে
কিন্তু যেই চোখে পড়ল টেবিলের ওপর রাখা তাঁর সঞ্চয়িতা কাব্য সংকলনটি, সেই মুহুর্তে নিজেকে আর ধরে রাখা গেলো না, একটা আঘাত ভেতরটাকে আমূল কাঁপিয়ে দিয়ে গেল, যেন এই দেখা টুকুরই অপেক্ষায় ছিলাম। প্রয়োজন ছিল sweet my child I live for thee বলে ভেঙে পড়া, জননীর মত।কতবার পড়া তার কাবিতাগুলোকে মনে হোলো অনাথ, পিতৃহীন। স্রষ্টার অন্তর্ধানে তাঁর সৃষ্টি কি করুণ। আস্তে আস্তে বাস্প জমছে চোখের পাতায়।মনের দিগন্তে আর কালো কোমল ছায়ায় টের পাচ্ছি, ঠেকে যাচ্ছে।সূর্যগ্রাসের সময় যেমন ঢাকে। অঝোর বর্ষণ তখন আর বাইরের প্রকৃতিতে নেই।সেই জলধারা ঠাঁই নিয়েছে ঘরে ঘরে, টলমল মনের পর মনে।পরিবেশ যখন স্নাত, স্নিগ্ধ, তখন বহ্নিমান চিতজ্বলছিল গঙ্গার কোলে। নৃত্য - আমার মুক্তি আলোয় আলোয় ….. গানে
( নৃত্যে বিদিশা দে, দিশা মন্ডল , Snowhita Saha এবং রাজদীপ মজুমদার) প্রথমার্ধ শেষে
পূজারিনী কবিতায় নৃত্য - নৃত্যে ডঃ কাশমী মন্ডল , কবিতা পাঠে Basudha Lahiri ও Sayak karar দ্বিতিয়ার্ধ্য শুরু
।। প্রভু, একটি নমস্কারে ।। সোমা ম্যাম - একটি নমস্কারে, প্রভু, একটি নমস্কারে সকল দেহ লুটিয়ে পড়ুক তোমার এ সংসারে ॥ ঘন শ্রাবণমেঘের মতো রসের ভারে নম্র নত একটি নমস্কারে, প্রভু, একটি নমস্কারে সমস্ত মন পড়িয়া থাক্ তব ভবনদ্বারে ॥ নানা সুরের আকুল ধারা মিলিয়ে দিয়ে আত্মহারা একটি নমস্কারে, প্রভু, একটি নমস্কারে সমস্ত গান সমাপ্ত হোক নীরব পারাবারে। হংস যেমন মানসযাত্রী তেমনি সারা দিবসরাত্রি একটি নমস্কারে, প্রভু, একটি নমস্কারে সমস্ত প্রাণ উড়ে চলুক মহামরণ-পারে ॥ অর্ধেন্দু স্যার - আমার প্রাণের 'পরে চলে গেলে
সঞ্জয় স্যার - সমুখে শান্তিপারাবার, ভাসাও তরণী হে কর্ণধার। তুমি হবে চিরসাথি, লও লও হে ক্রোড় পাতি, অসীমের পথে জ্বলিবে জ্যোতি ধ্রুবতারকার। মুক্তিদাতা, তোমার ক্ষমা, তোমার দয়া হবে চিরপাথেয় চিরযাত্রার। হয় যেন মর্ত্যের বন্ধন ক্ষয়, বিরাট বিশ্ব বাহু মেলি লয়, পায় অন্তরে নির্ভয় পরিচয় মহা-অজানার। সংযুক্তা ম্যাম - আজ যেমন করেছে গাইছে আকাশ সোমা ম্যাম - হে মহাসুন্দর শেষ হে বিদায় অনিমেষ, হে সৌম্য বিষাদ, ক্ষণেক দাঁড়াও স্থির, মুছায়ে নয়ননীর করো আশীর্বাদ। ক্ষণেক দাঁড়াও স্থির, পদতলে নমি শির, তব যাত্রাপথে, নিষ্কম্প প্রদীপ ধরি নিঃশব্দে আরতি করি নিস্তব্ধ জগতে। রাজীব স্যার - আজি প্রণমি তোমারে সোমা ম্যাম - কী গভীর দুঃখে মগ্ন সমস্ত আকাশ, সমস্ত পৃথিবী। চলিতেছি যতদূর শুনিতেছি একমাত্র মর্মান্তিক সুর ‘ যেতে আমি দিব না তোমায় '। ধরণীর প্রান্ত হতে নীলাভ্রের সর্বপ্রান্ততীর ধ্বনিতেছে চিরকাল অনাদ্যন্ত রবে, ‘ যেতে নাহি দিব। যেতে নাহি দিব। সায়নী ম্যাম - তবু মনে রেখ সঞ্জয় স্যার - মোর লাগি করিয়ো না শোক, আমার রয়েছে কর্ম, আমার রয়েছে বিশ্বলোক। মোর পাত্র রিক্ত হয় নাই– শূন্যেরে করিব পূর্ণ, এই ব্রত বহিব সদাই। উৎকণ্ঠ আমার লাগি কেহ যদি প্রতীক্ষিয়া থাকে সেই ধন্য করিবে আমাকে। ওগো তুমি নিরুপম, হে ঐশ্বর্যবান, তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারি দান– গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়। হে বন্ধু, বিদায়। ------ সমাপ্তি --------
Students participants : Arkaroop Ghosh (CE-2nd Yr)
Satarupa Bera (IT, 2nd Year)
Soumyajit Bhowmick(ECE, 2nd Year),
Prianshu Banerjee (ECE, 2nd year)
Sridip Dey (EE, 2nd year)
Sourya Bhattacharyya (AEIE, 2nd year) Saptarshi Mallik (CSE, 3rd Year)
Swarnak Mukherjee (ME, 3rd year)
Basudha Lahiri (ECE, 3rd Year)
Sayak Karar(CSE, 3rd Year)
Kankana Bhowmik (CSE, 2nd Year)

Location TINT